পাখি
জীবন
পাখি হয়ে থাকা,পাখি
পাখি খেলা সারাটি জীবন।
ওই যে তাল গাছের মাথায় তাল পাতায় বানানো ফ্ল্যাট
ড্রইং ডাইনিং দুইবাথ,কিচেন
তার ভেতর খুনসুটি,ডিমপাড়া
ডিমের তায়ে তাকে রেখে খাদ্যের খোঁজে বাইরে
যাওয়া
শিকারির তাড়া খাওয়া,তীরের
মুখে মতিঝিল থেকে
একমুটো খুদ মুখে নিয়ে ফেরা নিত্যদিন।
তারপর একদিন ডিম ফুটে ছানাপোনা-ক্লান্তদিন।
তারপর ছানা পাখি হয়ে গেছে উড়ে
আমরাও পাখি,পাখি
পাখি খেলা এইসব দিন।
ওপার
ওপার একদিন এমনি ঘোর সন্ধ্যায় আকাশের মুখ
কালো করে
বৃষ্টি নামবে,বৃষ্টি
নামবে অঝোর ধারায়
কেউ কোথাও থাকবে না,শুধু
মাথা নুয়ে গাছ
তার ডালে পাখি একাকি ভিজে যাবে
আর দূরে দৃষ্টির ওপারে
আমার চোখ জলে ভেজা চোখ
আকাশ ভেঙে নেমে আসা জলের ধারা
তোমার দু'চোখ
দূর থেকে দেখবে।
আত্মরতি
এই একেলা সন্ধ্যায় মেলে দিয়েছ নিজেকে নিজের
কাছে
হূ হূ করে আসছে কষ্টেরা,বসতে
দিচ্ছ বেদনার পিঁড়িতে।
তারা কেউ উসকো খুসকো,কেউ
এলোচুল,কারো
মুখ বসন্তের
দাগে ভরা,কারো
খড়িওঠা,মাখা
গায়ে ধুরোবালি
তারা খুব শান্ত হয়ে বসেছে তোমার আসে পাশে
আর তুমি লিখে চলেছ নিজেকে নিজে।
দুঃখ ছাড়া আজ কেউ পাশে নেই, রাখোনি
অথচ মনে কওে দেখো আজও ভোরে ঝির ঝির
বাতাস বয়েছিল,শিউলি
জমেছিল ঘাসের ডগায়
এ দৃশ্যের মহিমা তুমি জানতে
অথচ একেলা আজ বিরহ সন্ধ্যায়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন