বিভূতিভূষণ
বন্দ্যাপাধ্যায়ের রচনায় আমরা প্রকৃতির এক শান্ত-স্নিগ্ধ রূপের পরিচয় পাই।গ্রামের মেঠোপথ,
পাশের ঝোপঝাড় আর জঙ্গলের বর্ণনা পাই সব সময়। কিন্তু এই শান্ত স্নিগ্ধ প্রকৃতির, ঝোপঝাড়ের
ভেতর দিয়ে সাপের মতো বয়ে চলে দারিদ্রের গোপন প্রবাহ।
অপু ট্রিলজিতে
আমরা পাই তিন প্রজন্মের পরিচয়। প্রথম প্রজন্মের হরিহর দারিদ্রকে কাব্য সৌন্দর্য়র সাথে
বহন করে।সে দারিদ্রকে তাড়ানোর স্বপ্ন দেখে কিন্তু তা বাস্তবে রূপায়িত হয় না। বরং দেখি
সে দারিদ্রের কারণে গ্রাম থেকেই উন্মূলিত হয়ে যায়।
দ্বিতীয় প্রজন্মের
অপুকেও আমরা দেখি দারিদ্রকে বাউণ্ডেলেপনার সাথে বহন করতে।পিতার দারিদ্রকেও যেন কপি
করে, সাহিত্য চর্চার অজুহাতে।
তৃতীয় প্রজন্মের
কাজলকে আমরা দেখি পিতার কাধে চড়ে গ্রামে ফিরে যেতে।আমরা বুঝতে পারি সেখানে সে অাবারও
অপুরই জীবনের পুনরাবৃর্ত করতে যাচ্ছে।
বিভুতি ট্রিলজি
কি তাহলে দারিদ্রের কপিকরণ কাহিনী? তাহলে কী বিভূতিভূষণ নৈরাশ্যবাদী ছিলেন?অশনি সংতেক
কি তারই সংকেত কে বহন করে?
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন