জ্ঞান নদী পারাপার
গুরু পার হবেন জ্ঞান নদী।
আমরা এসেছি আজ নদী তীরে
দেখে ঢেউ থরহরি, উপরন্তু
শীত।
আমরা তীরে বসে গুনছি ঢেউ আর
ভাবছি জলেব মধ্যেই আছেন মৎস্যকন্যাগণ
আমাদের পাঠে মোটেই মন নেই।
কী করে পার হবো জ্ঞান নদী
গুরুই হাবুডুবু।
আমরা শর্টকার্ট পারের কথা ভাবছি।
ওই যে দূরে রাখাল বালক,তাকে
ডাকো
সে বানিয়েছে ভেলা কলাগাছের
তাই চড়ে ওপারে যাবো, জ্ঞাননদী
পার হয়ে।
আমরা এসেছি জ্ঞান নদী পার হয়ে
দ্যাখ,জল
কাদা কিছুই গায়ে লাগেনি।
নগর দুয়ারে গৌতম
নগর দুয়ারে কারা হাসে কাচঝরা।
তারা কি জরা, মৃত্যুকে
দেখেনি ?
দূর থেকে ধেয়ে এসে অগ্নিনদী
এ জনপদ মুছে দেবে
কালোজ্বরের কাঁপিয়ে মেদিনী
সকল মন্দির ভেঙ্গে দেবে
আর মৃত্যু মৌমাছির মত
শুকনো কালো ডানায় উড়ে এসে
নিয়ে যাবে ছায়াপ্রাণ
নগর দুয়ারে কারা হাসে কাচঝরা
তারা কি মৃতু কে দেখেনি ?
যযাতিও ফের ফিরে পেয়েছিলেন পুত্রের যৌবন
অবশেষে জরা তাকেও নিল
আজও মহাভারতের শুকনো পাতায় পাতায়
জেগে আছে তার হাহাকার
নগর দুয়ারে কারা হাসে কাচঝরা।
ফুঁ-এর বাড়ি
নানা বাড়ি গেছিলাম বহুদিন পর।
নানা পীর
কাষ্ঠ দিয়ে বানিয়েছিলেন তাঁর ঘর।
এই বার গিয়ে দেখি ইষ্ট দিয়ে তাঁরা তুলেছে
দালান
জিগ্ঞাসি কী বৃত্তান্ত, কী
খবর ?
মামা বলেন, জান
তো বাপের ছিল ফুঁ-এর তেজারতি
ফুঁ-এই বানিয়েছি এই ঘর।
বেহুদা
না লইলাম আল্লাজির নাম, না
লইলাম নারীর।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন